ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক মান বিরোধীদের চিহ্নিত করা ও সজাগ এবং পদক্ষেপ নিন।

ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক মান বিরোধীদের চিহ্নিত করা ও সজাগ এবং পদক্ষেপ নিন।

ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকে স্নাতক (পাস) মান হোক তা সরাসরি পাকিস্তান রাষ্ট্রের অনুরুপ অথবা ভারত রাষ্ট্রের অনুরুপ ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সকৃতদের সর্ট/ব্রীজ কোর্সের মাধ্যমে বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) ডিগ্রি ও স্নাতক মান করা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ডিএইচএমএস কৃতদের পক্ষ হতে গত ২১ এপ্রিল ২০১৯খ্রি. (১) মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীন প্রধানমন্ত্রী, (২) মাননীয় চেয়ারম্যান, জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, (৩) সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, (৪) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, (৫) অধ্যক্ষ (সকল হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল) সমূহে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট/নথি সহ রেজিস্ট্রার্ড স্মারকপত্র/আবেদনপত্র প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ডিএইচএমএস কোর্সের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২খ্রি. বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড ও ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্স চালু করেন। জাতির জনক আজ বেঁচে থাকলে বর্তমান প্রজম্মকে ডিএইচএমএস কৃতদের স্নাতক মান দাবি জানাতে হতোনা। স্নাতক মান অনেক আগেই বাস্তবায়ন হতো। ডিএইচএমএস কৃতদের উচ্চশিক্ষার জন্য গত শতাব্দিতে ৮০ (আশি) র দশকে শুধুমাত্র ডিএইচএমএস কৃতদের আন্দোলনের ফসল বিএইচএমএস কোর্স ও সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ জায়গা এবং ভবন। সেখানে কোর্সে ডিএইচএমএস কৃতরা ভর্তি হওয়া ডিএইচএমএস কৃতরা সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত তথা ভর্তি হতে পারেনা। সেখানে করতে হতো পাকিস্তানের মত শুধুমাত্র মেডিকেল ব্যাকগাউন্ড পাসকৃতরা বিএইচএমএস কোর্সে ১ম বর্ষে ডিএইচএমএস কৃতরা সরাসরি বিএইচএমএস কোর্সে ৩য় বর্ষে ভর্তি হতে পারবে। অন্যকেহ বা উচ্চমাধ্যমিক (বিজ্ঞান) পাস করলেই বিএইচএমএস কোর্সে ভর্তি হতে পারবেনা। তাহাতে হোমিওপ্যাথি কোর্সে অধ্যয়নরতদের দীর্ঘ মেয়াদি কোর্স করে হোমিওপ্যাথির উপর ভিত্তি অনেক শক্তিশালী হতো। তা না করে সরাসরি উচ্চমাধ্যমিক (বিজ্ঞান) পাসকৃতরা যাদের বেশির ভাগ সরকারিভাবে অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কোন চান্স পায়নি বা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার পাস নম্বর পর্যন্ত তুলতে পারেনি, কিন্ত মেডিক্যালে পড়তে চায়, চিকিৎসক হতে চায়, বেশিরভাগ সেসব মেধাবিরা তারা বিএইচএমএস কোর্সে ভর্তির ফলে তারা সকল হোমিওপ্যাথির হর্তাকর্তা ও তাদের দাপটে ডিএইচএমএস'দের সব বিষয়ে খবরদারি করছে।

ডিএইচএমএস কৃতরা ১৯৭২খ্রি. হতে স্নাতক পাস মান দাবি করলেও তা অনেক চিহ্নিত বিএইচএমএস কৃতরা ডিএইচএমএস'দের সমমান হোক তা চায় না। সে সকল বিএইচএমএস বাংলাদেশে বসবাস করে এ সমাজেরই কাহারও আত্নীয়, কাহারও ভাই-বোন বা কাহারও নিকটজন বা কাহারও প্রতিবেশী। কাহারও বোর্ডের অনুরোধে বা তদবিরে প্রকল্পে অধিনে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিএইচএমএস পাসকৃতদের মেডিকেল অফিসার (হোমিওপ্যাথি) (বিসিএস নয়) চাকরিরত। গত ২৭ জুন ২০১৯ তারিখের বোর্ড মিটিংয়ে ব্রীজকোর্স বিষয়ে আহবায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ও গত ০৩ জুলাই ২০১৯খ্রি. ব্রীজ কোর্সের মাধ্যমে ডিএইচএমএস কৃতদের স্নাতক মান নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে প্রস্তাবিত বোর্ডের আহবায়ক কমিটির নাম বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অফিসিয়াল স্মারক সহ প্রকাশিত করার পর তারা এখন বোর্ডকে ও বোর্ডের বিএইচএমএস কৃত কর্মকর্তাদের অকৃতজ্ঞ বলছে এবং ডিএইচএমএস কৃতদের হেও করে ফেসবুকে লিখছে। তারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। যা কাম্য নয়।
তারা কি ডিএইচএমএস কৃতদের বোর্ডে বিএইচএমএস কৃত কর্মরত কর্মকর্তা পদায়ন ও প্রেরণ করেছে ডিএইচএমএস দের জন্য নয়, বিএইচএমএস দের স্বার্থ দেখা এবং ডিএইচএমএস কৃতরা যাতে স্নাতক সমমান না পায় সেজন্য কি কাজ করা?

আর ছাড় নয় এবার ডিএইচএমএস কৃতদের স্বার্থ বিরোধী সে সকল বিএইচএমএস কৃতদের চিহ্নিত করুন, তার ও তার পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিন (মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ অতীত ও বর্তমান), তারা কত তম ব্যাচ, তাদের নাম ও পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করুন, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। তাদের লেখার পাল্টা জবাব লেখার মাধ্যমে দিন। তাদের লেখার কপি করে রাখুন এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা ম্যাসেঞ্জারে হোমিওপ্যাথিক নেতা বা ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে বা সরাসরি বোর্ডের ব্রীজ কোর্স বাস্তবায়ন আহবায়ক কমিটির নিকট প্রেরণ করুন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় ডিএইচএমএস কোর্সের সরকার স্বীকৃত হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি স্নাতক মান বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাত করুন, সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএইচএমএস সংগঠন গুলোর প্রতিনিধিরা স্নাতক মান বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাত করুন। ফলে স্নাতক মান বিরোধিতা বন্ধ হবে, ভবিষ্যতে বিরোধিতাকারীরা ডিএইচএমএস'দের সঙ্গে ঠিকভাবে চলবে।
ডিএইচএমএস কৃতরা বার বার ছাড় দেওয়া ও পাল্টা উত্তর না দেওয়া এবং তখন মাঠ ছেড়ে দেবার কারণে আজ ডিএইচএমএস দের স্নাতক মান বিরোধিতাদের সাহস চরম পর্যায়ে ছাড়িয়ে গেছে। যা কাম্য নয়। যেখানে বাধা সেখানে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ করা। ভুলে গেলে চলবেনা- "ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্নাতক সমমান ডিএইচএমএস কৃতদের অধিকার"।
ডিএইচএমএস কোর্সের স্নাতক মান প্রদানে কেহ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা, সেই বাঁধা ডিএইচএমএস'রা মানবেনা, প্রয়োজনে সে বাঁধা ডিএইচএমএস'রা প্রতিরোধ ও অতিক্রম করার যোগ্যতা বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ ধারণকারী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান প্রজম্ম/বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা, বর্তমান ডিএইচএমএস কৃতরা রাখে।
(তথ্যসূত্র)
(মতামত)

লেখক পরিচিতি :

ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
(চিকিৎসক, শিক্ষক, হোমিওপ্যাথি নেতা, শিক্ষক নেতা, কলামিস্ট, প্রাক্তন সাংবাদিক)
বাংলাদেশ।